সোমবার, জুন ০৯, ২০১৪


সাভার ট্রাজেডি: ‘রানা’-রা কি পার পেয়েই যাবে???



মো: আসাদুজ্জামান: পৃথিবীর সকল নির্যাতিত-নিপড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত ও বঞ্চিত শ্রমিকের কাতারে নিজেকে দাড় করিয়ে রানা প্লাজা ধ্বংসে নিহত ও আহত সকল শ্রমিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। গত বছরের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে নিহত হয় সহস্রাধিক মানুষ। আহত হয় দুই সহস্রাধিক শ্রমিক। এদের মধ্যে পঙ্গুত্ম বরণ করে অনেক শ্রমিক। নিহত শ্রমিকের পরিবারগুলো সাহায্য হিসেবে টাকা পেলেও এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি।

গত বছর ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে অন্তত ১১৩০ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। ভবন ধ্বসের পরদিন সাভার মডেল থানায় রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ এ মামলা দায়ের করেন। যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ দুই বছর শাস্তি হতে পারে।

রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে গত ২৫ এপ্রিল সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ওয়ালি আশলাফ খান অন্য মামলাটি দায়ের করেন। রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেকসহ মোট ৬ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন হতে পারে।



এদিকে ২৩ মার্চ ইমারত বিধি না মেনে সাভারের রানা প্লাজা নির্মাণ মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই দিনই রাজউক বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় সোহেল রানার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে ২৫ এপ্রিল সাভার মডেল থানায় অপর মামলাটি করে পুলিশ। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।

এ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম বলেন, “রাজউকের করা মামলায় রানাকে আদালত ছয় মাসের জামিন দিয়েছে। পুলিশের করা অপর মামলাতেও রানা জামিন চেয়েছিলেন। তবে সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।”

এ মামালায় গ্রেপ্তার রানার বাবাকেও গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট।

রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় দুই মামলার তদন্ত ১ বছরেও শেষ হয়নি। তাহলে কী রানাসহ যাদের আটক করা হয়েছে তা কী শুধু মানুষ দেখানো? গত দুইদিন আগে রানার বাবা একটি রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছেন। তাকে আবার সাদরে গ্রহণ করা হয়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তার এবং তার ছেলে রানার কিছুই হবে না।








শ্রমিকের ঘামে যেসব বিত্তশালীরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে তারা কী কোনদিন শ্রমের সঠিক মূল্য দেবে না? বঞ্চিত অসহায় যেসব শ্রমিক প্রতিনিয়ত ঘাম ঝড়াচ্ছে, শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও সচল রাখছে আমাদের অর্থনীতির চাকা অন্তত ঘাম ঝড়ানোর জন্য একটা নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের নিশ্চয়তা মত নূন্যতম দাবি কি পূরণ হবে না? আমাদের দেশের আইন কী এই এতগুলো মানুষের হত্যার জন্য কী কোন সাজা দেবে না?

হয়তো ভবন ধ্বংসে নিহত শ্রমিকের আত্মা বিচারের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াবে। লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
‘রানা’-রা কি পার পেয়েই যাবে???
আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা: পৃথিবীর সকল নির্যাতিত-নিপড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত ও বঞ্চিত শ্রমিকের কাতারে নিজেকে দাড় করিয়ে রানা প্লাজা ধ্বংসে নিহত ও আহত সকল শ্রমিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। গত বছরের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে নিহত হয় সহস্রাধিক মানুষ। আহত হয় দুই সহস্রাধিক শ্রমিক। এদের মধ্যে পঙ্গুত্ম বরণ করে অনেক শ্রমিক। নিহত শ্রমিকের পরিবারগুলো সাহায্য হিসেবে টাকা পেলেও এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি।

গত বছর ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে অন্তত ১১৩০ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। ভবন ধ্বসের পরদিন সাভার মডেল থানায় রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ এ মামলা দায়ের করেন। যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ দুই বছর শাস্তি হতে পারে।

রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে গত ২৫ এপ্রিল সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ওয়ালি আশলাফ খান অন্য মামলাটি দায়ের করেন। রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেকসহ মোট ৬ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন হতে পারে।

এদিকে ২৩ মার্চ ইমারত বিধি না মেনে সাভারের রানা প্লাজা নির্মাণ মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই দিনই রাজউক বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় সোহেল রানার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে ২৫ এপ্রিল সাভার মডেল থানায় অপর মামলাটি করে পুলিশ। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।

এ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম বলেন, “রাজউকের করা মামলায় রানাকে আদালত ছয় মাসের জামিন দিয়েছে। পুলিশের করা অপর মামলাতেও রানা জামিন চেয়েছিলেন। তবে সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।”

এ মামালায় গ্রেপ্তার রানার বাবাকেও গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট।

রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় দুই মামলার তদন্ত ১ বছরেও শেষ হয়নি। তাহলে কী রানাসহ যাদের আটক করা হয়েছে তা কী শুধু মানুষ দেখানো? গত দুইদিন আগে রানার বাবা একটি রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছেন। তাকে আবার সাদরে গ্রহণ করা হয়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তার এবং তার ছেলে রানার কিছুই হবে না।

শ্রমিকের ঘামে যেসব বিত্তশালীরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে তারা কী কোনদিন শ্রমের সঠিক মূল্য দেবে না? বঞ্চিত অসহায় যেসব শ্রমিক প্রতিনিয়ত ঘাম ঝড়াচ্ছে, শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও সচল রাখছে আমাদের অর্থনীতির চাকা অন্তত ঘাম ঝড়ানোর জন্য একটা নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের নিশ্চয়তা মত নূন্যতম দাবি কি পূরণ হবে না? আমাদের দেশের আইন কী এই এতগুলো মানুষের হত্যার জন্য কী কোন সাজা দেবে না?

হয়তো ভবন ধ্বংসে নিহত শ্রমিকের আত্মা বিচারের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াবে। লেখক: শিক্ষার্থী, শ্রমিক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
- See more at: http://swadesh24.com/details.php?id=27269#sthash.IDd4r9lJ.wPq8qUDc.dpuf
‘রানা’-রা কি পার পেয়েই যাবে???
আসাদুজ্জামান, সাতক্ষীরা: পৃথিবীর সকল নির্যাতিত-নিপড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত ও বঞ্চিত শ্রমিকের কাতারে নিজেকে দাড় করিয়ে রানা প্লাজা ধ্বংসে নিহত ও আহত সকল শ্রমিককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। গত বছরের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে নিহত হয় সহস্রাধিক মানুষ। আহত হয় দুই সহস্রাধিক শ্রমিক। এদের মধ্যে পঙ্গুত্ম বরণ করে অনেক শ্রমিক। নিহত শ্রমিকের পরিবারগুলো সাহায্য হিসেবে টাকা পেলেও এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি।

গত বছর ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে অন্তত ১১৩০ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। ভবন ধ্বসের পরদিন সাভার মডেল থানায় রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ এ মামলা দায়ের করেন। যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ দুই বছর শাস্তি হতে পারে।

রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে গত ২৫ এপ্রিল সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ওয়ালি আশলাফ খান অন্য মামলাটি দায়ের করেন। রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেকসহ মোট ৬ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন হতে পারে।

এদিকে ২৩ মার্চ ইমারত বিধি না মেনে সাভারের রানা প্লাজা নির্মাণ মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ওই দিনই রাজউক বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় সোহেল রানার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করে ২৫ এপ্রিল সাভার মডেল থানায় অপর মামলাটি করে পুলিশ। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।

এ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম বলেন, “রাজউকের করা মামলায় রানাকে আদালত ছয় মাসের জামিন দিয়েছে। পুলিশের করা অপর মামলাতেও রানা জামিন চেয়েছিলেন। তবে সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।”

এ মামালায় গ্রেপ্তার রানার বাবাকেও গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট।

রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় দুই মামলার তদন্ত ১ বছরেও শেষ হয়নি। তাহলে কী রানাসহ যাদের আটক করা হয়েছে তা কী শুধু মানুষ দেখানো? গত দুইদিন আগে রানার বাবা একটি রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছেন। তাকে আবার সাদরে গ্রহণ করা হয়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তার এবং তার ছেলে রানার কিছুই হবে না।

শ্রমিকের ঘামে যেসব বিত্তশালীরা সম্পদের পাহাড় গড়ছে তারা কী কোনদিন শ্রমের সঠিক মূল্য দেবে না? বঞ্চিত অসহায় যেসব শ্রমিক প্রতিনিয়ত ঘাম ঝড়াচ্ছে, শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও সচল রাখছে আমাদের অর্থনীতির চাকা অন্তত ঘাম ঝড়ানোর জন্য একটা নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের নিশ্চয়তা মত নূন্যতম দাবি কি পূরণ হবে না? আমাদের দেশের আইন কী এই এতগুলো মানুষের হত্যার জন্য কী কোন সাজা দেবে না?

হয়তো ভবন ধ্বংসে নিহত শ্রমিকের আত্মা বিচারের জন্য কিয়ামত পর্যন্ত দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াবে। লেখক: শিক্ষার্থী, শ্রমিক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী
- See more at: http://swadesh24.com/details.php?id=27269#sthash.IDd4r9lJ.wPq8qUDc.dpuf